পুরো নেটফ্লিক্স লাইব্রেরি বা ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সম্পূর্ণ তথ্যভাণ্ডার এক সেকেন্ডে হাজার বার ডাউনলোড করা সম্ভব!
জাপানের নতুন ইন্টারনেট গতির বিশ্বরেকর্ড: ভবিষ্যতের ডিজিটাল বিপ্লবইন্টারনেটের গতি নিয়ে কথা বলতে গেলে আমরা সাধারণত মেগাবাইট বা গিগাবাইট প্রতি সেকেন্ড ইন্টারনেট স্পীড বা গতীর কথা ভেবে থাকি। কিন্তু জাপান এই ধারণাকে পুরোপুরি বদলে দিয়ে সারা বিশ্বে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তারা বিশ্বের সামনে নিয়ে এসেছে পেটাবিট ইন্টারনেট স্পিড।
২০২৫ সালে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (NICT) এক অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়েছে—প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট (Pbps) গতির ইন্টারনেট। যেখানে মেগাবাইটের গল্প শোনানো হাস্যকর এক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। জাপানের এই নতুন স্পিডে প্রায় ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট প্রতি সেকেন্ড, যা এত দ্রুত যে আপনি পুরো নেটফ্লিক্স লাইব্রেরি বা ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সম্পূর্ণ তথ্যভাণ্ডার এক সেকেন্ডে হাজার বার ডাউনলোড করতে পারবেন! চিন্তা করা যায়, কী অভাবনীয় ব্যপার!
কীভাবে এই অসাধারণ গতি সম্ভব হলো? জাপানের গবেষকরা এই রেকর্ড অর্জনের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। তারা ১৯-কোর অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, মাল্টি-ওয়েভলেন্থ প্রযুক্তি, এবং মোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (MDM) ব্যবহার করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা ১৮০টি ডেটা স্ট্রিম একসঙ্গে ১,৮০৮ কিলোমিটার দূরত্বে স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। এই গতি আমাদের দৈনন্দিন বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত গড় ইন্টারনেট সংযোগের (প্রায় ১০-১০০ Mbps) তুলনায় লক্ষাধিক গুণ দ্রুত।
জাপান এর আগেও ইন্টারনেট গতির ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল। ২০২৪ সালে তারা ৪০২ টেরাবিট প্রতি সেকেন্ড (Tbps) এবং ২০২১ সালে ৩১৯ Tbps গতির রেকর্ড গড়েছিল। কিন্তু এবারের ১.০২ পেটাবিট গতি তাদের আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি প্রমাণ করে যে প্রযুক্তির জগতে জাপান কতটা এগিয়ে রয়েছে। আমরা যেখানে ঠিকভাবেিএমবি স্পিড ই পাই না তারা সেখানে পেটাপিট ব্যবহার করতে পারবে। আপাতত এই অতি-উচ্চ গতির ইন্টারনেট এখনো সাধারণ গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ হয়নি তবে খুব শীঘ্রই তারা আরো কিছু টেষ্টিং এর মধ্য দিয়ে জনগনের জন্য উম্মুক্ত করে দিবে।
জাপানের এই নতুন গতী ভবিষ্যতে ডিজিটাল জগতে যেমন উপকারে আসতে পারে:
- ৬জি নেটওয়ার্ক: এই গতি 6G প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি করবে, যা মোবাইল যোগাযোগকে আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করবে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): AI-চালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য বিশাল পরিমাণ ডেটা রিয়েল-টাইমে প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হবে।
- ক্লাউড কম্পিউটিং: ক্লাউড সার্ভিসগুলো আরও দ্রুত এবং দক্ষ হবে।
- বৈজ্ঞানিক গবেষণা: বড় ডেটা সেট, যেমন জিনোমিক্স বা মহাকাশ গবেষণার তথ্য, দ্রুত স্থানান্তর করা যাবে।
আমরা বাংলাদেশীরা কবে নাগাদ পেতে পারি এই গতী? প্রশ্নটি করাও হাস্যকর তবু অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে। সত্যি বলতে নতুন এই এই প্রযুক্তি এখনো জাপানের পরীক্ষাগারেই সীমাবদ্ধ। জাপানের মানুষ হয়ত ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এর ব্যবহার শুরু করতে পারবে। কিন্ত আমাদের বাংলাদেশে এই সুযোগ আসতে আসতে নূন্যতম ২০ বছর বা আদৌ কোনদিন না। যা সত্যি তাই লিখলাম। আমাদের উন্নত হবে কেবল আন্দোলন আর প্রতিরোধ। নেতা নেত্রীদের বাড়ি গাড়ী সাথে চুপা ও চাপার জোর।
আমরা বর্তমানে যেগুলি 3G, 4G বা 5G হিসাবে ব্যবহার করি, বাস্তবিক অর্থে সেগুলি সব ভূয়া। নামে আছে কামে নাই। আমাদের 3G, 4G বা 5G জাপানের 1G স্পীড হিসাবেও তারা গন্য করে না। শুনতে কেমন শোনালেও ঘটনা সত্য।
সত্যি সত্যিই যদি আমরা 3G বা 4G স্পীড ও পেতাম তবু আমাদের দৈনন্দিন প্রযুক্তিগত কাজ কে উচ্ছ্বসিতভাবে সম্পাদন করতে পারতাম। জাপান যেখানে সত্যিকার ৬জি-এর পথে এগিয়ে চলেছে। আমরা আছি ভূয়া ৫জি গল্প নিয়ে।
বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্পীড নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কেমন? আপনি ৪জি না ৫জি ব্যবহার করেন? আপনি সন্তষ্ট কি না নিচে কমেন্ট করে পাঠকদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
তথ্যবহুল পোস্ট….!
কি আর বলবো। বাংলাদেশে এমন কোন প্রযুক্তি আবিষ্কার হলে নেতা নেত্রী, এমপি মন্ত্রী সরকার সবাই মিলে এই প্রযুক্তিকে নিজেদের ব্যবসা বানাবে। আর না পারলে জনগনকে বলবে যে,দেশের সকল তথ্য বাইরে পাচার করছে এই প্রযুক্তি।
তাই আমরা একে বন্ধ করে দিলাম।
এমটাই বিবেচনা করে কেউ এমন প্রযুক্তির ধারে কাছে যাবে না।😭😭😭😭😭😭😭😠😠😠😠
“আচ্ছালামুয়ালাইকুম ” ভাই বাংলাদেশ যে ইন্টারনেট কি আর বলবো, বলাট মতন কিছুই নাই সব কিছু আপনি আপমার লেখায় তুলে ধরছেন। ভাই আপনার সাথে থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি অনেক অযানা বিষয় যানতে পারছি। আলহামদুলিল্লাহ